হাতিশুঁড় গাছের শিকড়ের উপকারিতা
হাতিশুঁড়া বর্ষজীবী উদ্ভিদ । লম্বায় এক থেকে দু'ফুট পর্যন্ত বাড়ে । কান্ড ফাপা ও বেশ নরম । গাছের প্রায় সব শাখা খাড়া হয়ে থাকে । সাদা ছোট লোমে গাছ ঢাকা থাকে । পাতা দেখতে ডিম্বাকৃতি, তবে আগার দিকটা ছোট । নিচের দিকে কোন লোম থাকে না । বৃন্তদেশ গোলাকার অথবা হৃদপিন্ডাকৃতি । পুষ্পদন্ড অনেকটা হাতির শুড়ের মত, সামনের দিকটা বাকানো । বাংলাদেশের সর্বত্রই পাওয়া যায় ।
ফুলের রঙ সাদা, তবে সামান্য বেগুনী । আকারেও খুবই ছোট হয় । বর্ষার পর গাছে ফুল ফোটে এবং পরে ফল ধরে । তবে অন্যান্য ঋতুতেও গাছে ফুল আসে ও ফল ধরে । সেক্ষেত্রে ফুলের সংখ্যা খুবই কম হয় ।
হাতিশুঁড় গাছের বিভিন্ন অসুখে ব্যবহারঃ
১। মাড়ির ঘায়েঃ হাতিশুঁড়া গাছের পাতাকে থেঁতো করে তার রস সকালে এবং রাতে শোয়ার সময় প্রয়োগ করলে তাড়াতাড়ি ক্ষত আরোগ্য লাভ করে ।
২। চোখ ওঠায়ঃ গাছের পাতা ও কচি ডাল থেঁতো করে তার রস চোখে দিনে তিনবার করে প্রয়োগ করলে দু'তিন দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায় । এটা চোখ ওঠার একটা মূল্যবান ঔষধ ।
৩। বিছা ও বোলতা কামড়ালেঃ পাঁচ গ্রাম পাতার রস ও সমপরিমাণ রেড়ির তেল মিশিয়ে বিছা অথবা বোলতা কামটানোর স্থানে লাগালে যন্ত্রণায় আরাম হয় ।
৪। পাগলা কুকুরে কামড়ালেঃ পাগলা কুকুরে কামড়ালে হাতি গুড়া গাছের পাতার রস দশ গ্রাম পরিমাণ খাওয়ালে কুকুরের বিষ বিনষ্ট হয় ।
৫। ক্ষত ও ফোড়ায়ঃ পোকা মাকড়ের কামড়ে ক্ষতের সৃষ্টি হলে অথবা ফোড়া ফেটে যাবার পর ঘা শুকিয়ে যাবার জন্য হাতি শুড়া গাছের পাতার কচি ডালকে থেঁতো করে তার রস প্রয়োগ করলে ঘা খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় ।
৬। গর্মী ঘায়েঃ হাতিশুঁড়া গাছের পাতা বেটে ঘায়ে দিলে ঘা শীঘ্র শুকিয়ে যায় ।
৭। সন্নিপাত জ্বরেঃ সমগ্র উদ্ভিদকে বেটে তার রস ১০ গ্রাম পরিমাণ খেলে সন্নিপাত জ্বর নিরাময় হয় ।
৮। ব্রণেঃ বয়সে ব্রণ প্রায় অধিকাংশ যুবক-যুবতীর মুখে দেখা যায় । ভাল হয়ে গেলেও গালে কাল কাল দাগ পড়ে যায় । মুখের শ্রী বিনষ্ট হয় । হাতি শুড়া পাতা ও তার কচি ডাল থেঁতো করে দুপুরে গোসল করতে যাবার ১ ঘন্টা আগে ব্রণের ওপর প্রলেপ দিলে ব্রণ সারে এবং নতুন করে আর ব্রণ হয় না ।