এ শাক বায়ুজনক ও কফ দূরকারক, গুরু, অগ্নিদীপক, অম্লরস, লবণ স্বাদ এবং এতে অর্শরোগ, বায়ু, শ্লেষ্মা, অগ্নিমান্দ্য ও বিষদোষ নাশ করে ।
নুনিয়া শাক অম্লরস, সারক, উষ্ণবীর্য, বাতবর্ধক এবং শোথ ও নেত্র রোগে হিতকর । নুনিয়া শাক খেলে কফ, পিত্ত, চর্মরোগ, ব্রণ, গুল্ম, শ্বাস, কাশ ও প্রমেহ রোগের উপকার সাধিত হয় ।
১। যকৃত দুর্বল হলেঃ নুনিয়া শাকের কচি ডাল পাতা গাছ থেকে টাটকা তুলে এনে সেটা বেটে তার রস এক থেকে দু চামচ এক কাপ ঠান্ডা পানির সাথে মিশিয়ে দিনে দুইবার খেতে হবে । নিয়ম করে তিন সপ্তাহ খেলে দুর্বল যকৃত সবল হয় ।
২। হৃদযন্ত্রের পীড়ায়ঃ পাতা ও কান্ডের টাটকা রস দুই চামচ এবং সমপরিমাণ মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে হৃদযন্ত্রের পীড়ায় উপকার হয় । দিনে একবার সকালের দিকে খেতে হবে ।
৩। আমাশয় রোগেঃ নুনিয়া শাক এর গাছের শুকনা বীজেরগুড়া ৩ গ্রাম জ্বাল দেয়া ছাগলের দুধের সাথে ঠান্ডা অবস্থায় সকাল এবং সন্ধ্যায় মোট দুই বার খেলে রোগের উপশম হয় । তবে সম্পর্ণ নিরাময়ের জন্য দশ থেকে বারো দিন নিয়মিত খাওয়া দরকার ।
৪। কফের সাথে রক্ত উঠলেঃ কাশির সাথে অথবা বুকের জমা কফের সাথে রক্ত উঠলে এ পাতার রস দুই চামচ চার ঘন্টা অন্তর খেলে রক্ত ওঠা বন্ধ হয় । তবে আরো তিন চারদিন নিয়ম করে খাওয়া উচিৎ ।
৫। পুষ্টিকর অভাবজনিত রোগেঃ নুনিয়া শাক সমগ্র গাছের কান্ড ও পাতা রস দুই চামচ করে দিনে দুই বার অথবা তরকারিতে দিয়ে সিদ্ধ করে খেলে পুষ্টির অভাব দূর হয় ।
৬। গণোরিয়া রোগেঃ নুনিয়া শাকের টাটকা কান্ড, পাতার রস দুই চামচ এবং এর সাথে শুকনা বীজের গুড়া ৩ গ্রাম মিশিয়ে এক কাপ গরুর দুধের সাথে খেলে অল্প কয়েক দিউনের মধ্যেই উপকার পাওয়া যাবে । গাছের বীজে কোন কষ্ট বা যন্ত্রণা হয় না । তাছাড়া সমগ্র গাছ মূত্রযন্ত্রের পীড়ায় হিতকর । কাজেই গণোরিয়া রোগে এটি একটি উৎকৃষ্ট মহৌঔষধ হিসেবে গন্য করা হয় । নিয়মিত খেলে এ রোগের সম্পূর্ণ আরোগ্য হয় ।
৭। ক্রিমি রোগেঃ যে কোন বয়সের অর্থাৎ কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষের পেটে ছোট বড় ক্রিমির উৎপাত হলে নুনিয়া শাকের বীজের গুড়া ২ গ্রাম থেকে ৪ গ্রাম বয়স অনুপাতে সকালে খালি পেটে ঠান্ডা পানির সাথে খেলে অবশ্যই উপকার হবে ।