অভাব দূর করার ও সুখ শান্তির জন্য ৩২টি সহজ বাস্তু টোটকা
- বাড়ীর প্রবেশপথে সিঁদুর দিয়ে স্বাস্তিক বা ওমের মতো যেকোন শুভ চিহ্ন তৈরি করুন ।
- বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঘরে ময়ূরের পালক রাখলে ঘরে অশুভ শক্তি প্রবেশে বাধা দেয় ।
- বাড়ীর মৃত পূর্বপুরুষের ছবি কখনই পুজোর ঘরে রাখা উচিৎ নয় । তাঁদের ছবি ঘরের দক্ষিণ দিকে লাগেতে হবে ।
- রান্না ঘরে কখনই দুখী অবস্থায় বা কাঁদতে কাঁদতে রান্না করা উচিৎ নয় । এতে পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে ।
- ঘরের কোথাও বন্ধ ঘড়ি রাখবেন না । এছাড়াও ভাঙা কাঁচের জিনিসপত্র ঘরের বাইরে রাখুন ।
- বাড়িতে পূজা করার সময় কর্পূর জ্বালিয়ে দিতে হবে । এটি নেতিবাচক শক্তি দূর করে এবং ইতিবাচকতা নিয়ে আসে ।
- রান্না ঘরের দরজা এবং ঘরে প্রবেশের প্রধান দরজা যেন একই সরল রেখায় না হয় । যদি এটি করা সম্ভব না হয় তবে রানাঘরের দরজায় একটি পর্দা লাগান ।
বাস্তু ভালো রাখার উপায়
- একটি কালো কাপড়ে ফিটকারি বেঁধে মূল দরজায় ঝুলিয়ে রাখুন, তবে তা যেন কারও চোখে না পড়ে, এতে ঘরে কোনো অশুভ নজর পড়ে না ।
- কখনই ঘরে কোনো কল থেকে ফোঁটা ফোঁটা জল পড়তে দেবেন না এরকম থাকলে অবিলম্বে ঠিক করুন কারন জল পড়ার টপ টপ শব্দে নেতিবাচক শক্তি তৈরি হয় ।
- বাড়ীর মহিলাদের প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রধান দরজায় জল ছিটিয়ে দিতে হবে । এতে ঘরে মা লক্ষীর আশীর্বাদ বজায় থাকবে ।
- শনিবার অশ্বস্থ গাছের নিচে সরিষার তেলের প্রদীপ জালান, কারণ এতে শনি ও মঙ্গল শুভ ফল দেয় ।
- প্রতি বৃহস্পতিবার তুলসী গাছে দুধ অর্পন করুন, এটি আর্থিক অবস্থার দ্রুত উন্নতি করতে সাহায্য করে ।
- সকালে বা সন্ধ্যায় ভজন পাঠ করলে ঘরে দেবতাদের বাসস্থান থাকে এবং অশুভ শক্তি ঘর থেকে বেরিয়ে যায় ।
- ঘরের উত্তর এবং পশ্চিম দিকের পর্দা ধূসর রঙের হলে সবচেয়ে শুভ বলে মনে করা হয় ।
- ধাতুর তৈরি কচ্ছপ উত্তর দিকে রাখলে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি আসে ।
- আপনার শোবার ঘরের পাশে বাথরুম থাকলে বাথরুম যেন একটু নিচু থাকে ।
- বাড়ীর মূল দরজার কখনই বাড়ীর ঠিক মাঝখানে করা উচিৎ নয় ।
গৃহ শান্তির উপায়
- ঘরের দেয়াল,ছাদ বা কোনো কোণ যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয় । যদি তাই হয়, অবিলম্বে এটি সংশোধন করুন ।
- রান্নাঘরে রান্না করার সময় খেয়াল রাখতে হবে মুখ যেন পূর্ব দিকে থাকে ।
- রাড়ীতে রাখা বিয়ের আমন্ত্রণপত্র কখনই ছিঁড়বেন না এবং নষ্ট করবেন না । এর কারণে বৃহস্পতি ও মঙ্গল অশুভ ফল দেয় ।
- যেসব শিশুর পড়াশোনায় আগ্রহ কম সবসময় পূর্ব দিকে মুখ করে পড়াশোন করাতে হবে । এতে তারা সুবিধা পাবে ।
- কখনো জুতা বা চপ্পল ঘরে এদিক ওদিক ছিটিয়ে রাখবেন না । এটি করলে ঘরোয়া কলহ বাড়ে এবং অর্থের অপচয় হয় ।
- পুজো ঘরের দরজা সর্বদা দুটি ভাগে খোলে এমন তৈরি করা উচিৎ ।
- চপ্পল বা জুতা পরে রান্না করা উচিৎ নয় ।
বাস্তু দোষ কাটানোর উপায়
- পুরানো জিনিসপত্র রাখার জন্য সিঁড়ির নিচে স্টোর রুম তৈরি করবেন না ।
- ঘর রঙ করার সময় খেয়াল রাখবেন ঘরের জানালা ও দরজা যেন কালো না হয় ।
- মূল দরজা সবসময় বাড়ির ভিতরে খোলা উচিৎ, বাইরে নয় ।
- আলোর অভাবে রান্নাঘরে কখনই চুলা জ্বালানো উচিৎ নয়;এতে শিশুদের ভোগান্তি হয় ।
- ঘরের মধ্যে কখনই মাকড়াসার জাল থাকতে দেবেন না । এটিই বাস্তু দোষের প্রধান কারণ ।
- শোবার ঘরে দেবী দেবতার মূর্তি বা ছবি রাখা উচিৎ নয় ।
- আপনার বাথরুমে নীল বালতি ও মগ রাখুন ।
- উন্নতি ও সাফল্য পেতে পূজা ঘরে অবশ্যই গঙ্গাজল রাখুন ।
প্রিয় বন্ধুরা, এই বাস্তু নিয়মগুলি মেনে চললে ঘরে সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি আসতে সময়
লাগে না । সবার পক্ষে সব নিয়মগুলো মানা সম্ভব নয় । যার পক্ষে যতটুকু মানা সম্ভব
মেনে চলার চেষ্টা করবেন । আশাকরি দ্রুত সুফল পাবেন ।