জিন হাজির সতর্কবাণী
এই পোষ্টে যে আমলগুলাে দেওয়া আছে সবগুলাে আগুনের মত ফলপ্রদক। গুরুর অনুমতি ছাড়া
কোন আমল নিজে একা একা করতে যাবেন না। তাহলে বিপদ হতে পারে। কারণ এগুলাে পুতুল
খেলা নয় তাই সাবধানে করতে হবে। আমল করার পূর্বে অনুমতি নিতে হবে। বিনা এজাজতে আমলগুলাে করা সম্পূর্ণ নিষেধ।
কেউ যদি এজাজত নিয়ে বা না নিয়ে এই আমল করে যদি বিপদে পরে তাহলে এই সাইটের এডমিন দায়ী থাকবে নাহ।
জিন হাজির করার আমলের নিয়মাবলীঃ
এই আমলগুলাে করার আগে দুনিয়ার সর্বশক্তিশালী রুহানী সাধনা ৩
মাস করে নিতে হবে। যেমনঃ
বিস্মিল্লাহির রাহমানির রাহিম - ১০০০ বার ।
ইয়া জামিউ আন্তাল হাইয়ু - ৫০০ বার ।
ইয়া খবিরু - ৩১৩ বার (২১ দিন)
এই আমলগুলাে ৩ মাস করবেন ইনশাআল্লাহ রুহানী শক্তি প্রচন্ড ভাবে বেড়ে যাবে এবং জিন মুয়াক্কেল হাজির করে দেখতে পারবেন।
যারা আমলের লাইনে কাজ করেন তারা সকলেই জানেন যে জালালি জামালি পরহেজ কি?। কিতাবে যে আমলগুলাে আছে সবগুলােতে পরহেজ পালন করতে হবে না। যে
গুলােতে করতে হবে আমি আমলের পাশেই লিখে দিব।
জালালি জামালি পরহেজ কি?
জালালি পরহেজঃ
বিবির সাথে সহবাস করা যাবে না, আমিষ খাওয়া যাবে না ।
জামালি পরহেজঃ
বিবির সাথে সহবাস করা যাবে , আমিষ খাওয়া যাবে না ।
গরুর হাড়ি দিয়ে জিন হাজিরঃ-
সামনে কোরবানি আশা করি কাওকে গরুর হার খুজতে সমস্যা হবে না। এই আমলে কোন পরহেজ
নেই কোন নির্ধারিত দিন নেই। আমলের দুনিয়ায় সবচেয়ে সহজ আমল হচ্ছে এই আমলটি। এই আমলটি করতে হবে এশার নামায এর পর ৭ পিছ গরুর হার ও
নতুন বেলি ফুলের আতর নিয়ে নির্জন স্থানে বা বাসার ছাদে নিয়ে রাখতে হবে। তারপর
উচ্চস্বরে তিনবার সালাম দিয়ে বলতে হবে হে জিনের বাদশা আপনার জন্য হাদিয়া নিয়ে এসেছি আপনি কবুল করুন। তারপর বলবেন ।
১। আলির দোহাই
২। মা ফাতেমার দোহাই
৩। হােসাইনের দোহাই
৪। হাসানের দোহাই
৫। রাসূল। (সঃ) এর দোহাই
৬। সােলেমান নবির দোহাই
৭। খিজিরের দোহাই
৮। আসহাবে কাহাফ এর দোহাই।
৯। ওমর আলি সিকদারের দোহাই
১১। সােহাগের দোহাই ।
মাত্র ১ দিন আমলটি করবেন, ইনশাআল্লাহ পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে জিন আপনাকে দেখা
দিবে।
সূরা ইখলাসের ৩ জন মুয়াক্কেল বা জিন সাধনঃ-
এই আমল যে কোন আরবি মাসে প্রথম বৃহস্পতিবার শেষ হয়ে যে রাত আসে সেই রাত থেকে
শুরু করতে হবে। রাত ১২ টার পর এক বৈঠকে সূরা ইখলাস ৩১২৫ বার পরতে হবে। আমলের আগে পরে ১১ বার দরুদ এ ইবরাহিম পরতে হবে।
এই আমলে জালালি জামালি পরহেজ অবশ্যই পালন করতে হবে। ইনশাআল্লাহ আমল চলা কালিন
আমেল অনেক কিছু দেখতে পারবে। একাধারে ৪০ দিন আমল করলে আমেল এর সামনে ৩ জন জিন
হাজির হবে এবং আমেল এর বাধ্য হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ্। এই জিন দিয়ে সমস্ত ভালাে কাজ করানাে যাবে।
জিন হাজির করার সহজ আমলঃ-
এই আমলটি আমার ফুফাতাে ভাই ইমরান আল মােজাদ্দেদী সাহেবের ২০১৩ সালে ওনার
ব্যাক্তিগত ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করেন। আমলটি ওনার পরিক্ষিত যে কোন চন্দ্র মাসের
প্রথম জুম্মা রাতে ১২ টার পর সুন্দর মতাে ওজু গােসল করে প্রথম ২ রাকাত নফল। নামাজ
আদায় করে নিতে হবে তারপর কেবলার দিকে মুখ করে এই অজিমতটি ৪১১ বার পরবেন। আগে ও পরে ১১ বার দরুদ এ ইবরাহিম পাঠ করবেন। বেলি ফুলের আতর শরিরে মাখতে
হবে এই আমলে জালালি জামালি পরহেজ নাই বিবির সাথে সহবাস করতে পারবেন যে কোন মাছ ও
গরুর গােশত বাদে সকল ধরনের আমিষ ভক্ষণ করতে পারবেন। আমলটি ৩১ দিন করতে হবে। ৭ দিন
এর পর থেকেই আলামত শুরু হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। ৩১ দিন রাতে একজন জিন হাজির হবে
রুহানি শক্তি কম থাকলে স্বপ্নে দেখা। দিবে আজিমত টি এইঃ
ইয়া হাইয়ু আল মানাও ইন্নি উলাকিয়া ইলায়া কিতাবুন কারিম ইন্না মিন
সুলাইমানা ও ইন্না বিস্মিল্লাহির ররাহমানির রাহিম ৪১১ বার।
সূরা ইয়াসিনের এর জিন সাধনঃ
এই সাধনাটি সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী এই আমলে কোন পরহেজ নাই। সকল ধরনের আমিষ খেতে
পারবেন। আমলের নিয়ম হলাে যে কোন আরবি মাসের জুম্মা রাতে সূরা ইয়াসিনের ৮৪নং
আয়াত ৮৪ বার পাঠ করতে হবে এবং এই আমলটি ৮৪ দিন পর্যন্ত করতে হবে। প্রথম দিন
যেখানে বসে আমল করেছেন বাকি দিনগুলাে ঐখানে আমল করবেন।
সূরা জিন দিয়ে ৭ দিনে জিন হাজিরঃ
এই আমলে জালালি জামালি পরহেজ অবশ্যই পালন করতে হবে। কোন ধরনের আমিষ খাওয়া যাবে
না। আমলটি যে কোন মাসের জুম্মা রাত থেকে শুরু করতে পারবেন। রাত ১২ টার পর একই
বৈঠকে সূরা জিন ৭০ বার তিলাওয়াত করতে হবে মাত্র ৭ দিন আমল করার পর আমেল এর সামনে
জিন অবশ্যই হাজির হবে। ইনশাআল্লাহ।
ইসমে আজম আল্লাহুর নামের মুয়াক্কেল হাজিরঃ
এই আমলটি ১৪ দিনে একটি আমল এই মুয়াক্কেল । এই আমলে জালালি জামালি পরহেজ পালন
করতে হবে। আমলটি ১৪ দিনের, যে কোন চন্দ্র মাসের ১ তারিখ হতে ১৪ তারিখ পর্যন্ত
করতে হবে। প্রতিদিন ১০ হাজার বার আল্লাহু জপ করতে হবে।
৫ ওয়াক্ত নামাযের পর ১ হাজার বার পরতে হবে । যেমন - ফজর এর পর ১ হাজার বার
আল্লাহু পরবেন তারপর ২৫ বার (আল্লাহু নুরুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ) আবার যােহরের
পর আল্লাহু ১ হাজার ও আয়াত এ কারিমা ২৫ বার এভাবে আছর, মাগরিব। এশাতেও পরবেন।
আবার রাত ১২টা বাজে ১ বৈঠকে আল্লাহু ৫ হাজার বার পরবেন প্রতি ১ হাজার বার পরার পর
আয়াতে কারিমা ২৫ বার পরবেন। এভাবে ১৪ দিন পরবেন। ইনশাআল্লাহ শেষ দিন অবশ্যই
মুয়াক্কেল হাজির হবে ১০০০% ইনশাআল্লাহ।।
সুরা ইয়াসিনের আয়াতের জিন হাজিরঃ
সুরা ইয়াসিন আয়াত নং ৯
ওয়া জাআলনা মিমবাইনি আইদিহিম সাদ্দাও ওয়া। মিন খলফিহিম সাদ্দান
ফাআগশাইনাহুম ফাহুম লা ইউবসিরুন
এ আয়াত এর দুইটি নিয়ম আছে। যদি তুলা রাশি হন যে কোন আরবি মাসের যে কোন জুম্মা
রাত থেকে শুরু করতে পারবেন। এই আয়াত খানা ৭৮৬ বার পাঠ করবেন ৪১ দিন পর্যন্ত।
৪১ তম রাতে যখন আমল শেষ করবেন তারপর সূরা ইয়াসিন পরবেন ২১ বার। ভােরে আমেলের
তৃত্ত্বাবধায়নে খিচুরী রান্না করে ছােট বাচ্চাদের মাঝে বিলিয়ে দিতে হবে তার
পরদিন থেকে প্রতি ফজর নামাজ এর পর আয়াত পরতে হবে ৪০ বার। যখন জিন হাজিরের
প্রয়ােজন হবে ২১ বার আয়াত পরে ডান হাতে ফু দিবেন ইনশাআল্লাহ জিন হাজির
হবে।
অন্য রাশির নারি পুরুষ আয়াত পরবেন ৩৬৬০ বার। আর সকল নিয়ম এক।