আমলকির ঔষুধি গুণাগুণ ও আমলকি খাওয়ার উপকারিতা

আমলকির গুণাগুণ, আমলকির ক্ষতিকর দিক, আমলকী সিরাপ, আমলকী এর english, আমলকী গাছ, আমলকী in english, আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা, আমলকির উপকারিতা ও অপক

আমলকি ঔষুধি কি কি গুন জেনে নিনঃ

নামঃ বাংলায়-আমলকী : সংস্কৃতিতে-আমলক ; হিন্দীতে-আমলা। 

পরিচয়ঃ আমলকী গাছ ভারতের প্রায় সব জায়গাতেই দেখা যায়। আমলকী ফল ছোট গোল গোল পাতা অনেকটা তেঁতুল পাতার মত। বাংলাদেশেও প্রচুর আমলকীর গাছ দেখতে পাওয়া যায়।

গুণঃ আমলকী রুক্ষ, রসায়ন, মধুর কষায় রসযুক্ত, অম্ল রসান্বিত এবং অত্যন্ত বৃষ্য ও শৈত্য গুণান্বিত।

আময়িক প্রয়োগঃ প্রমেহ ও রক্তপিত্ত নাশক। ইহা পিত্ত, কফ ও বায়ু ইত্যাদি ত্রিদোষ নাশক।

আমলকীর মজ্জাঃ বমি, তৃষ্ণা, ভ্রম ও দাহ নাশ করে। আমলকী বৃদ্ধে ছাল ও মজ্জা সমগুণ বিশিষ্ট বলে জানবে।

মাত্রাঃ চূর্ণ এক হতে দুই তোলা, রস চার তোলা পরিমাণ পর্যন্ত।

আমলকী কোন কোন রোগ আরোগ্য কারকঃ-

১। শ্বেত প্রদরঃ পাকা আমলকীর বীজপূর্ণ, কিঞ্চিৎ মিছরিচূর্ণসহ বারবার লেহনপূর্বক সেবন করলে শ্বেত প্রদর রোগে বিশেষ সূফল পাওয়া যায়। 

২। মেহ রোগঃ আমলকীর কাঁচা ফল একটি করে প্রত্যহ সেবন করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

৩। যোনিশূলঃ আমলকীর রস তিন তোলা, হিঞ্চে বা গাঁদা পাতার রস দুই তোলা, মিছরিচূর্ণ দুই তোলা একত্রে মিশ্রিত করে সেবন করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

আমলকির গুণাগুণ, আমলকির ক্ষতিকর দিক, আমলকী সিরাপ, আমলকী এর english, আমলকী গাছ, আমলকী in english, আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা, আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা,
চিত্রঃ আমলকী


৪। চোখ উঠলেঃ
কাঁচা আমলকী পেষণ করে রস নিষ্কাশনপূর্বক ছেঁকে মাঝে মাঝে দুই ফোঁটা করে চোখে দিলে চোখের জ্বালা যন্ত্রণার উপশম হয় । 

৫। (ক) চুল উঠলেঃ আমলকী পেষণ পূর্বক মাথায় লেপন করে প্রত্যহ তিন ঘন্টা পর্যন্ত তা মাথায় রাখতে হবে। এভাবে একমাস পর্যন্ত মাথায় ব্যবহার করলে চুল ওঠা বন্ধ হয় ।

(খ) চুলের গোড়া শক্ত করতে হলেঃ আমলকী পেষণ পূর্বক মাথায় লেপন করে প্রত্যহ তিন ঘন্টা পর্যন্ত তা মাথায় রাখতে হবে। এভাবে একমাস পর্যন্ত মাথায় ব্যবহার করলে চুলের গোড়া শক্ত হয় 

(গ) অকালে চুল পাকলেঃ আমলকী পেষণ পূর্বক মাথায় লেপন করে প্রত্যহ তিন ঘন্টা পর্যন্ত তা মাথায় রাখতে হবে। এভাবে একমাস পর্যন্ত মাথায় ব্যবহার করলে অকালে চুল পাকে না।

৬। প্রস্রাবরোধ বা মূত্ররোধ হলেঃ মাটি অথবা পিতলের পানির কলসী যে স্থানে বসান হয় সে স্থানের কিছু মাটি নিয়ে আমলকীসহ উত্তমরূপে পেষণ পূর্বক নাভির চারদিকে ভালভাবে প্রলেপ দিলে, প্রসাব হয়ে থাকে। কিন্তু মূত্রনালীগত শৃঙ্খলার ফলে যদি প্রস্রাব না হয়, তবে এ ভাবে প্রস্রাব করান যাবে। না। কিন্তু শুধু মূত্রাশয়ের গোলযোগের ফলে যদি মূত্রকৃচ্ছতা দেখা দেয় তবে এই প্রক্রিয়ায় আমলকী প্রয়োগ করে বিশেষ সুফল পাওয়া যায়। 

৭। প্রস্রাবে জ্বালা-যন্ত্রণা বোধ করলে বা মূত্রপথে দাহ সৃষ্ট হলেঃ চার তোলা আমলকীর রস, আধা পোয়া খাঁটি কাঁচা দুধ ও কিছু মিছারী চূর্ণসহ সরবত। তৈয়ার করে প্রত্যহ সকাল বেলা ঐ সরবত এক সপ্তাহ পর্যন্ত সেবন করলে বিশেষ সূফল পাওয়া যায়।

৮। শির পীড়া অথবা মাথা ধরাঃ আমলকী গোলাপ জল, শ্বেতচন্দনসহ উত্তমরূপে পেষণপূর্বক মস্তকে প্রলেপ দিলে শিররোগ বা মাথা ধরা আরোগ্য হয়।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন