আলকুশি বীজের চূর্ণ উপকারিতা ও ঔষুধি গুনাগুন

আলকুশি বীজ চূর্ণ খাওয়ার নিয়ম,আলকুশি পাউডার কোথায় পাওয়া যায়,আলকুশি বীজ এর দাম,আলকুশি বীজের দাম,আলকুশি কোথায় পাওয়া যায়,আলকুশি বীজের পাউডার,আলকুশ


আলকুশী ঔষুধি গুনাগুন জেনে নিনঃ-


আলকুশির বিভিন্ন নামঃ বাংলায় আলকুশী: সংস্কৃতিতে-কপিকুচ্ছ : হিন্দীতে-কৌচ বীজ। 

আলকুশি গাছের পরিচয়ঃ আলকুশী এক প্রকার লতা বিশেষ আলকুশী শরীরে লাগলে বিছুটির মত। চুলকায় বা জ্বালা হয়। আলকুশীর ফল দেখতে অনেকটা সিমের মত। আলকুশী ফলের। গায়েও এক প্রকার রোঁয়া পরিলক্ষিত হয়, ঐ রোয়া শরীরে লাগলেও গা কুটকুট করে।

ব্যবহারঃ ঔষধে আলকুশীর মূল, বীজ ও পাতা ব্যবহার করা হয়। 

গুণঃ ইহা মধুর তিক্ত রসযুক্ত গুরু, বলকারক, মাংসবর্ধক, বায়ু নাশক অতিশয় শুক্রবৰ্ধক ।

আলকুশি বীজ চূর্ণ খাওয়ার নিয়ম,আলকুশি পাউডার কোথায় পাওয়া যায়,আলকুশি বীজ এর দাম,আলকুশি বীজের দাম,আলকুশি কোথায় পাওয়া যায়,আলকুশি বীজের পাউডার,আলকুশি পাউডার খাওয়ার নিয়ম,আলকুশি গাছ কোথায় পাওয়া যায়,
চিত্রঃ আলকুশি


আময়িক প্রয়োগঃ ইহা পিত্ত, কফ ও রক্তদোষ নাশক। 

আলকুশী বীজের গুণ ও আময়িক প্রয়োগঃ ইহা বায়ূ নাশক। 

আলকুশী মূলের মাত্রাঃ ক্বাথ ইত্যাদির জন্য আট আনা পরিমাণ। 

আলকুশী বীজের মাত্রাঃ এক আনা পরিমাণ।

আলকুশি যে সব রোগ আরোগ্য কারকঃ-

১। রক্ত দূষিত হলেঃ আলকুশীর ক্বাথ সিদ্ধ করে এক ছটাক পরিমাণ প্রত্যহ দু'বার সেবন করলে রক্তদোষ নিবারিত হয়ে থাকে। 

২। ধ্বজভঙ্গঃ আলকুশীর বীজ চূর্ণ এক আনা রাতে শয়ন করার পূর্বে ঠা পানিসহ সেবন করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

৩। ধাতু দৌর্বল্যঃ আলকুশীর বীজ অত্যন্ত উপকারী। প্রত্যহ সকালে আলকুশীর বীজ মধু ও মাষকলাইর ডালসহ পেষণপূর্বক সেবন করলে ধাতু দৌর্বল্য দূর যায় এবং শরীরে শক্তি সঞ্চারিত হয়।

৪। ইন্দ্ৰিয় শৈথিল্যঃ এক আনা মাত্রায় আলকুশীর বীজ চূর্ণ, দুগ্ধ ও চিনিসহ অগ্নিপাক করে একমাস পর্যন্ত সেবন করলে মিথিল ইন্দ্রিয় দৃঢ় ও কার্যক্ষম হয়। 

৫। নারীর যৌনিতে কোনরূপ আঘাত লাগলেঃ আলকুশীর মূল পানিসহ সিদ্ধ করে সে সিদ্ধ করা পানিতে পরিষ্কার ন্যাকড়া ভিজায়ে সহ্য মত গরম অবস্থায় যৌনির উপর সেঁক দিলে বা কিছু সময় বসায়ে রাখলে এবং এ প্রক্রিয়ার এক সপ্তাহ সময় যৌনিতে সেঁক দিলে আঘাতজনিত যন্ত্রণা দূর হয়ে যায়। 

৬। বায়ু জমে পেট গরম হলেঃ এক আনা পরিমাণ আলকুশীর বীজ করে ঠাণ্ডা পানির সাথে মিশ্রণ করে সেবন করলে পেট ঠাণ্ডা হয়।

৭। কফাদি স্রাবঃ আলকুশীর মূল আট আনা মাত্রায় নিয়ে এক পোয়া পানিসহ আগুনে সিদ্ধ করতে হবে এক ছটাক হলে তা নামায়ে নিতে হবে প্রত্যহ দু'বার ঐ ক্বাথ পরিমাণমত সেবন করলে কফ নির্গত হয়। 

৮। রক্ত পিত্ত রোগঃ আলকুশীর পাতা পানি দ্বারা সর্বপ্রথম উত্তমরূপে ধৌত করতে হবে তারপর ঐ পাতা শাক রাধার মত বেঁধে সেবন করলে রক্তপিত্ত দোষ নির্ধারিত হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন