অশোক গাছের গুনাগুন

অশোক গাছের গুনাগুন, আশশেওড়া গাছের উপকারিতা,অশ্বথ গাছ,অশোক গাছের ব্যবহার, স্বর্ণ অশোক,দাতন গাছ,সৌন্দর্য বর্ধনকারী গাছ,অর্ক গাছ,

অশোক গাছের ব্যবহার


নামঃ বাংলা, হিন্দী ও সংস্কৃতিতে অশোক।

পরিচয়ঃ অশোক একপ্রকার ফুলের গাছ। এ ফুলগাছ অন্যান্য ফুলগাছ হতে আকারে অনেক বড়। এ ফুলগাছ দু'প্রকার যথাঃ-

 (১) প্রথম গাছটির পাতা রামফল গাছের পাতার মত। 

(২) অপরটির পাতা অনেকাংশে আমগাছের পাতার মত। 

প্রথমটির ফুল অনেকটা কমলালেবুর মত এবং দ্বিতীয়টির ফুল লাল গুচ্ছযুক্ত হয়ে থাকে। এর ভিতরের ছাল লালবর্ণের, উপরের ছাল মেটে রঙ্গের।

অশোক গাছের গুনাগুন, আশশেওড়া গাছের উপকারিতা,অশ্বথ গাছ,অশোক গাছের ব্যবহার, স্বর্ণ অশোক,দাতন গাছ,সৌন্দর্য বর্ধনকারী গাছ,অর্ক গাছ,
অশোক গাছ



গাছের কোন অংশ ব্যবহার হয়ে থাকেঃ

এ গাছের ছাল ও বীজ সাধারণত ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু ফলের ব্যবহার নেই।

এ গাছের ছাল ও বীজ এর গুণঃ

তিক্ত-কষায় রসযুক্ত, শীতবীর্য, বর্ণ প্রসংদক ও ধারক।


আময়িক প্রয়োগঃ 

ইহা পিপাসা নাশক। কৃমি, রক্তদোষ, অপচ রোগ, দাহ এবং বায়ু, কফ, পিত্ত ইত্যাদি ত্রিদোষ নাশক। মাত্রা চার আনা পরিমাণ, কোন কোন ক্ষেত্রে দু’তোলা পরিমাণ।


যে সব রোগ আরোগ্য কারকঃ

১। স্ত্রীলোকের ঋতুতে গোলমাল বা অনিয়ম হলেঃ 

অশোক অত্যন্ত উপকারী ভেষজঅশোকের ছাল বীজের ক্বাথ মিছরি চূর্ণ অথবা মধুসহ সেবন করালে স্ত্রীলোকের ঋতুর গোলযোগ নির্বাপিত হয়ে থাকে । 

২। প্রদর হলে কি করবেনঃ 

দু’তোলা পরিমাণ অশোকের ছাল পেষণপূর্বক ৩০০ গ্রাম, পানি ও ১৫০ গ্রাম গরুর দুধসহ ঘুটের আগুনে অথবা কাঠের আগুনে সিদ্ধ করতে হবে। পানি ও দুধ ইত্যাদি শুকায়ে যখন ১৫০ গ্রামের মত হবে তখন তা ছেঁকে পান করলে রক্তপ্রদর, শ্বেতপ্রদর যে কোন প্রদর রোগ হোক না কেন নিশ্চয়ই তা নিবারিত হবে।


৩। মানুষের মূত্ররোধ এর সম্যসা হলে কি করবেন...?

অশোকের একটি বীজ ঠাণ্ডা পানিসহ পেষণপূর্বক সেবন করলে মুত্ররোধ আরোগ্য হয়ে স্বাভাবিক প্রস্রাব হয়ে থাকে । 


৪। অত্যন্ত পিপাসা রোধঃ 

অশোকের কিছু ছাল পেষণপূর্বক কিছুক্ষণ পানিতে ভিজায়ে রাখতে হবে, তারপর ঐ পানি কিছু পরিমাণে ৩/৪ বার চুমুক দিয়ে পান করলে পিপাসা নিবৃত্ত হয়ে থাকে। 

৫। মানুষের পেটের কৃমি হলে কি করবেন...?

দুই তোলা পরিমাণ অশোক ছাল আধা সের পানিতে সিদ্ধ করলে পানি শুকায়ে যখন আধাপোয়ার মত হবে তখন তা নামায়ে ছেঁকে নিতে হবে। ঐ পানি এক ছটাক পরিমাণে প্রত্যহ পর পর ৩/৪ দিন সেবন করলে কৃমি বিনষ্ট হয়।


৬। দাহ রোগ আরোগ্যঃ

অশোকের ক্বাথ সেবনে ও প্রলেপে নিশ্চয়ই আরোগ্য লাভ হয়।


৭। রক্ত দোষ আরোগ্যঃ

রক্ত দোষ হলে অশোকের পাচন সেবন করলে সূফল পাওয়া যায় ।

অশোক গাছ কোথায় পাওয়া যায়ঃ

অশোক গাছ হিমালয়ের পাদদেশবর্তী অঞ্চলে লভ্য। বলধা গার্ডেনের সংরক্ষিত অংশটিতে (সাইকি) একটি অশোক গাছ আছে। এবং খোজ করলে যে কোন জায়গায় পাওয়া যেতে পারে ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন